ফজলে রাব্বি পাপ্পু নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
ঘটনাটি নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র,নবীপুরে ঘটেছে।
সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে দেখা যায় অফিস টাইমে অফিস খোলা নেই, কমপ্লেক্সের মূল ফটকের সামনে মানুষ ঘুমাচ্ছে। নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের বাসিন্দা জলেখা-৫৫ বলেন "সরহার হাসপাতাল দিছে চিকিৎসা নেওনের লাগি আর এনের ডাক্তর আফাডি আমডার লগে করতাছে আলামত, আমডা কার কাছে যামু আফনেরা কইয়া যান। আফনেরা সরহাররে কন তাগদা ইডাত ঔষধ দেওয়া শুরু করনের লাগি। আমডা গাই গিরস্তি করি অত বড়লোক না।
অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা জানতে চাইলে অত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত মিসেস বিপাশা জানান ঔষধ সংকট ও ভবনটির কাজ চলমান থাকায় তারা ভেতরে বসতে পারেনা। ভবন ভগ্ন হওয়ায় অফিসে যাওয়া যাবে না মর্মে প্রশ্ন করা হলে তিনি এড়িয়ে যান। সেবার বিনিময়ে হাঁস মুরগি কাটানোর বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এফডব্লিউএ পারভিন বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নবীনগরে সরকারি ট্রেনিংয়ে আছেন মর্মে জানান। নবীনগর কোথায় ট্রেনিং করছেন জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক তিনি বলেন "আমি একটি বাড়িতে অবস্থান করছি মহিলা ডেলিভারি করার জন্য "
রোগীকে হাসপাতালে অথবা নিজ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না নিয়ে অফিস টাইমে কারো বাড়ি গিয়ে ডেলিভারি করানোর বিষয় জানতে চাইলে তিনিও বিষয়টি এড়িয়ে যান।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের তত্ত্বাবধায়ক জনাব ডাক্তার জাহিদুল ইসলামের সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন
" বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি গ্রহণ করা হবে"।
মাজহারুল ইসলাম এর সম্পাদনা ও প্রকাশনায়। মোবাইল : ০১৯২৯৩৪০৭৩০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত